
shershanews24.com
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারী, ২০২১ ১০:৪২ পূর্বাহ্নশীর্ষ নিউজ, ঢাকা : আমদানির খবরেও কমছে না চালের দাম। উল্টো কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। পাইকারি আড়তদাররা বলছেন চাতাল মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন। এদিকে এখনো বাজারে এসে পৌঁছায়নি আমদানি করা চাল। খাদ্য সচিব জানিয়েছেন আমদানি করা চাল বাজারে পৌঁছেতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আমদানি করা চাল আসলেই দাম কমবে।
সংকটের অজুহাতে গত নভেম্বর থেকেই দেশের বাজারে চালের দাম বাড়তে থাকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এ জন্য দুই দফায় সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ উদ্যোগের ফলে কমবে দাম। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে এক দিকে যেমন আমদানি করা চাল দেশে পৌঁছেতে বিলম্ব হচ্ছে। অন্য দিকে নতুন করে বেড়েছে দামও। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকায়। আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়। নাজিশশাইল ৬৫ থেকে ৭২ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, কারখানার মালিকরা প্রতি বস্তা চাল ৫০ টাকা করে বাড়িয়েছে। আড়তের মালিকরা বলছেন ভারতের চাল এখনো প্রবেশ করে নাই এই জন্য দামও কমেনি।
পাইকার মালিকরা বলেন, ভারতে চাল যদি সঙ্গে সঙ্গে আসতো তাহলে আমরা কিছু কম দিয়ে কিনতে পারতাম। তারা তো ধান কিনে তার পর বাজারজাত করে।
আমদানি শুরু হয়েছে। তবে যেভাবে আসা দরকার সেই ভাবে এখনো আসে নাই। একটু সময় লাগবে কারণ আমরা যে পরিমাণ অনুমতি দিয়েছি তার ১০ শতাংশ এখন আসে নাই। আসতে শুরু করলে দাম কমতে শুরু করবে। প্রতি কেজি চালের বর্তমান দাম- মিনিকেট চাল: ৬২-৬৮ টাকা, আঠাশ চাল: ৫৪-৫৮ টাকা, নাজিশশাইল: ৬৫-৭২ টাকা, মোটা চাল : ৪৮-৫০ টাকা।
পাইকারি আড়তদাররা বলছেন, তাদের কাছে এখনো আমদানি করা চাল এসে পৌঁছায়নি। বাড়তি দামের জন্য বেশি দামে চাল কেনা ও ধানের দাম বেশির অজুহাতও দিচ্ছেন তারা।
খাদ্য সচিব জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি করা চাল শিগগিরই বাজারে পৌঁছাবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ভারতের পাশাপাশি ভিয়েতনাম আর মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আমি মনে করি আগামী এক সপ্তাহের মাঝে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
চাল আমদানি ও সরবরাহে ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া সব জটিলতাই নিরসন করা হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানি করা চাল ভোক্তাদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হয় তার ওপর এবং চাতাল মালিকদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে চালের দাম ওঠা নামা।
শীর্ষনিউজ/এম